আমরা কেন দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়ি

আপনি জানেন কি সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়ায় আমাদের হাত থেকেশরীরের বেশ কিছু অংশে ঘন ঘন হাত দেওয়ার ফলেই অসুস্থ হয়ে পড়ি আমরা। জেনে নিন শরীরের কোন অংশগুলোয় বেশি হাত দেওয়া উচিত নয়।



চোখ
শরীরের সবচেয়ে সংবেদনশীল অংশ চোখ। চোখে জীবাণু সংক্রমণের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি হয়। তাই কখনই চোখে হাত দেওয়া উচিত নয়। চোখ কচলাবেন না। আর যদি চোখ কচলে ফেলেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। চোখে দেওয়া হাত অন্য কোথাও লাগলেও ইনফেকশন ছড়াতে পারে।

কান
কান কটকট করলে প্রায়ই আমরা আঙুল দিয়ে খোঁচাতে থাকি। এতে আরাম লাগে ঠিকই কিন্তু কানের ভিতর কখনই হাত দেওয়া উচিত নয়। এতে সংক্রমণ যেমন ছড়াতে পারে তেমনই ভিতরের পাতলা চামড়া ছিঁড়ে যেতে পারে। আবার কানের ভিতরে দেওয়া হাতও অন্য কোথাও দেওয়া উচিত নয়। এতে কানের নোংরা শরীরের অন্য জায়গায় লেগে ইনফেকশন ছড়াতে পারে।

নাক
শুনতে যতই অদ্ভুত লাগুক নাক খোঁটার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই রয়েছে। যাঁদের এই অভ্যাস থাকে তাঁদের অসুস্থ হওয়ার প্রবণতাও বেশি হয়। নাক দিয়ে আমরা শ্বাস-প্রশ্বাস চালাই। তাই নাকে ময়লা ঢুকলে শরীর অসুস্থ হতে বাধ্য। আবার নাকের ময়লা অন্য জায়গায় লেগেও ইনফেকশন ছড়াতে পারে।

মুখ
মুখের ত্বক অত্যন্ত সংবেদনশীল। ঘন ঘন মুখে হাত দিলে হাতের নোংরা, জীবাণু থেকে ত্বকে নানা রকম সমস্যা হয়। আবার ব্রণ বা অন্য র‌্যাশের সমস্যা থাকলে বার বার হাত লাগলে সমস্যা আরও বেড়ে যায়। তাই যতটা সম্ভব মুখে হাত দেওয়া এড়িয়ে চলুন।

মুখের ভিতর
খাওয়ার পর দাঁতে খাবার আটকে থাকলে বা মুখের ভিতর কোনও অস্বস্তি হলে অনেকেরই মুখের ভিতর হাত দেওয়ার অভ্যাস থাকে। এই অভ্যাস অবিলম্বে ত্যাগ করুন।

নখের নীচে
নখের নীচের অংশে জমে থাকে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু। নখ ছোট থাকলে ময়লা জমতে পারে না। বড় নখের ভিতর ময়লা জমে। যা অনেক সময় আমরা অন্য হাত দিয়ে খুঁটে খুঁটে বের করি। এর থেকেও সংক্রমণ ছড়ায়।


মলদ্বার
যতই পরিষ্কার রাখা হোক শরীরের এই অংশে বাসা বাঁধে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া। তাই চুলকানি বা কোনও রকম অস্বস্তি যাই হোক না কেন এই অংশে হাত দেওয়া সম্পূর্ণ ত্যাগ করতে হবে। যদি কখনও হাত দিয়েও ফেলেন সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিসেপটিক সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে হাত ধুয়ে ফেলুন।
Previous Post Next Post
//luvaihoo.com/4/4226258