মশা খুবই একটি পরিচিত শব্দ। আমাদের প্রাত্যাহিক
জীবনে এদের সাথে আমাদের সম্পর্কটা মোটেই সুখকর নয়। এই কথাটা যদি আপনাকেও জিজ্ঞাসা
করি, যে কেন? তাহলে আপনি নির্দ্বিধায় বলবেন যে এরা আমাদের
রক্ত খায়।
আবার পরবর্তি প্রশ্নে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় ‘মশা কেন রক্ত খায়’ তখনি চলে আসে
নানান উদ্ভট উত্তর আর প্রশ্ন।তাহলে আজ আমারা জানবো মশার রক্ত খাওয়ার পেছনের আসল
কারণগুলো এবং কিছু অজানা মজার তথ্যঃ
মশার মধ্যে শুধু মাত্র স্ত্রী মশাই মানুষ ও
অন্যান্য জীবের রক্ত খায়। তাহলে দেখলে শুধু
শুধু নিরীহ পুরুষ মশাটিকেই ভূল বুঝতেছিলেন, তাই না?
১) পুরুষ মশাদের যেহেতু হুল থাকে না, তাই তারা বিভিন্ন ফুলের মধু, ফুলের-পাপড়ি ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
২) আবার স্ত্রী মশা আমাদের রক্ত খাওয়ার পূর্বে
তার হূল ঢুকিয়ে দিয়ে প্রথমে আমাদের শরীরে এক ধরনের রাসায়ানিক পদার্থ ঢুকিয়ে দেয়।
যার ফলে সেই নির্দিষ্ট জায়গাটা কিছু সময়ের জন্য হালকা অবশ হয়ে যায়। তখন স্ত্রী মশা
রক্ত চোষে নেয়।
৩) তারপর সেই রাসায়ানিক পদার্থ এর প্রভাব শেষ
হয়ে গেলে, আমারা হালকা
ব্যাথা অনুভব করি।
৪) স্ত্রী মশা সাধারণত ৫-১০ টা ডিম পাড়তে
পারে। কিন্তু সে ওই সময়টাতে যদি যথেষ্ট পরিমানে রক্ত খেতে পারে তাহলে সে ২০০বা তার
অধিক ডিম পাড়তে পারে। কারণ ঐ রক্ত থেকে যে পরিমানে পুষ্টি পায় তা তার ডিম পাড়ার
উপর প্রভাব ফেলে এবং তারা স্বাভাবিক এর চেয়ে বেশি ডিম পাড়তে পারে।
৫) এই স্ত্রী মশা সাধারণত বিভিন্ন রোগের বাহক
হিসাবে কাজ করে। যেমনঃ চিকুনগুনিয়া, ডেঙ্গু ।
অতএব তাহলে আপনারা মশার বিষয়ে সকল জনসচেতনতা মূলক
বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করুন যেমনঃ
১) মশারী টাঙ্গিয়ে শুয়া।
২) মশার উৎপত্তি স্থল ধংস করা (ঝোপ-ঝাড়,জমে থাকা পানি) ।
৩) ভিন্ন পয়ঃনিষ্কাশন ব্যাবস্থা গ্রহন করা (ড্রেন, নালা)।
৪) মশা সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।
লেখকঃ কামরুল হাসান।
প্রাণ-রাসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ।