মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনই নিজের ফোনটিকে চার্জ দিতে হয়। এটি একটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে ব্যবহারকারীদের। তবে এই চার্জ দেওয়া নিয়ে কিছু ভুল ধারণা আমরা লালন করি, বা পালন করি। মানে বলা হয়, এটা করলে ফোনের ক্ষতি হবে, ওটা করলে ব্যাটারির সমস্যা হবে ইত্যাদি।
প্রায় সব স্মার্টফোনেই থাকে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। আর মাঝেমধ্যেই এসব ব্যাটারির বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। কিছুদিন আগেই স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ মোবাইল ফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরণ প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে। ফলে ব্যাটারি সংক্রান্ত ভুল ধারণাগুলো আরো পাকাপোক্ত হয়েছে। যদিও স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭-এর ব্যাটারি বিস্ফোরণ নির্মাণজনিত ত্রুটি ছাড়া আর কিছুই নয়।
মোবাইল ফোনে যেন আগুন না ধরে যায় সেভাবেই যন্ত্রটির ব্যাটারি বানানো হয়। আর সঠিকভাবে নির্মিত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি অন্তত আপনার পকেটে জ্বলে উঠবে না। কাজেই অযথা ভয় না পেয়ে চলুন জেনে নিই চার্জ দেওয়া নিয়ে ছয়টি ভুল ধারণার কথা। ধারণাগুলো প্রকাশ করা হয়েছে ম্যাশেবল নামের এক ওয়েবসাইটে।
সারারাত মোবাইলে চার্জ দেওয়া খারাপ
কিছু পুরোনো মডেলের মোবাইল ফোন ছাড়া বেশির ভাগ স্মার্ট ফোন নিজে থেকেই বুঝে নেয় যে তার চার্জ পরিপূর্ণ হয়েছে। যখন চার্জ পূর্ণ হয় তখন নিজে থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ নেওয়া বন্ধ করে দেয় ফোন। স্মার্টফোনের এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই আপনি নিরাপদ।
সম্পূর্ণ চার্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুনভাবে চার্জ দেওয়া যাবে না
এটা সচরাচর না করাই ভালো। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি আপনার টিভির রিমোটের ব্যাটারির মতো নয় যে ব্যাটারির শক্তি শেষ হওয়ার আগেই নতুন ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে না। অথবা ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে না গেলে নতুনভাবে চার্জ দেব না- এরকম ধারণা রাখাই উচিত নয়। পুরোনো নিকেল-মেটাল হাইড্রাইড ব্যাটারির মতো মেমোরি এফেক্ট (পুরোনো ব্যাটারির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ চার্জ শেষ না হলে নতুনভাবে চার্জ না নেওয়াকে বলে মেমোরি এফেক্ট) আপনার নতুন স্মার্টফোন এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারির ক্ষেত্রে নেই। বরং এ রকম মনে করে সম্পূর্ণ চার্জ শেষ করে চার্জ দিলে আপনার মোবাইল ফোনের ক্ষতি হতে পারে। তাই যখন খুশি তখন, উপযুক্ত জায়গা পেলে, সেখানেই চার্জ দেবেন।
ফোন চার্জের সময় তা ব্যবহার করা যাবে না
চার্জের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও অনেকে পরামর্শ দেন এটি না করার জন্য। কারণ তারা মনে করেন এটি করলে তা মোবাইল ফোনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। যদিও অন্যসব ভুল ধারণার মতো এটিরও কোনো ভিত্তি নেই। এই ভুল ধারণাটি আরো শক্ত হয় ২০১৪ সালে, সেসময় চার্জ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এক নারীর মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ঘটে অস্ট্রেলিয়ায়। যদিও কর্তৃপক্ষ পরে দেখেছেন, কম দামি ইউএসবি চার্জার ব্যবহার করার জন্যই এ ঘটনা ঘটেছিল। তাই চার্জ দিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ, তবে সস্তা চার্জার থেকে সাবধান। আর ভেজা হাতে চার্জ লাগানো মোবাইল না ধরাই ভালো।
সকল চার্জার একইভাবে নির্মিত
চার্জার আপনার মোবাইল ফোনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, এটার মধ্যে আর কতটুকু বৈচিত্র্য থাকতে পারে? চার্জার নিয়ে এ রকম ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু আসলে একটি ভালো চার্জারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই নকল চার্জার ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কেন শেরিফ বাজারে অ্যাপলের চার্জারের ছদ্মবেশে থাকা বেশকিছু নকল চার্জার নিয়ে গবেষণা করেছেন। এগুলোই মূলত আপনার মোবাইল ফোনকে নষ্ট করা এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। নামকরা ব্র্যান্ডের চার্জার না কিনলেও চার্জারের ভালো-মন্দ দেখে সেটা কেনা উচিত। ভালো চার্জার মানেই আপনার মোবাইল দ্রুত চার্জ হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের অতিরিক্ত তাপে তা গলে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা মোবাইল চালু রাখা যাবে না
সারাক্ষণ মোবাইল খোলা রাখলে আপনার ব্যাটারির জীবনের মেয়াদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে কিন্তু মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখা এর কোনো সমাধান নয়। এ জন্য সপ্তাহে একবার মোবাইল রিবুট অপশন থেকে পুনরায় বুট করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার মোবাইলের কর্মক্ষমতা উন্নয়নেও তা সহায়ক হবে।
‘লোকেশন সার্ভিস’ বা অবস্থান সংক্রান্ত সেবা আপনার ব্যাটারির ক্ষমতা নষ্ট করছে
মোবাইল ফোনে চালু অ্যাপগুলো যা অবস্থান সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে তা ব্যবহারের কারণে ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে, এ রকম অভিযোগ অনেকের কাছেই শুনে থাকবেন। আইটি বিষয়ক সাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির মতে এই ধারণাটিও ভুল। এ রকম অনেক সেবামূলক অ্যাপ রয়েছে যা ব্যবহার করলে আপনার অ্যাপের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে, তার মানে এই নয় যে এটি আপনার মোবাইল ফোনের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। আপনি আপনার মোবাইল ফোনে লোকেশন সার্ভিস ব্যবহার করতে চাইলে তা নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারেন। এটি কখনই আপনার ব্যাটারির জীবননাশ করবে না।
প্রায় সব স্মার্টফোনেই থাকে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি। আর মাঝেমধ্যেই এসব ব্যাটারির বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যায়। কিছুদিন আগেই স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭ মোবাইল ফোনের ব্যাটারি বিস্ফোরণ প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে। ফলে ব্যাটারি সংক্রান্ত ভুল ধারণাগুলো আরো পাকাপোক্ত হয়েছে। যদিও স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭-এর ব্যাটারি বিস্ফোরণ নির্মাণজনিত ত্রুটি ছাড়া আর কিছুই নয়।
মোবাইল ফোনে যেন আগুন না ধরে যায় সেভাবেই যন্ত্রটির ব্যাটারি বানানো হয়। আর সঠিকভাবে নির্মিত লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি অন্তত আপনার পকেটে জ্বলে উঠবে না। কাজেই অযথা ভয় না পেয়ে চলুন জেনে নিই চার্জ দেওয়া নিয়ে ছয়টি ভুল ধারণার কথা। ধারণাগুলো প্রকাশ করা হয়েছে ম্যাশেবল নামের এক ওয়েবসাইটে।
সারারাত মোবাইলে চার্জ দেওয়া খারাপ
কিছু পুরোনো মডেলের মোবাইল ফোন ছাড়া বেশির ভাগ স্মার্ট ফোন নিজে থেকেই বুঝে নেয় যে তার চার্জ পরিপূর্ণ হয়েছে। যখন চার্জ পূর্ণ হয় তখন নিজে থেকেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে চার্জ নেওয়া বন্ধ করে দেয় ফোন। স্মার্টফোনের এই বৈশিষ্ট্যের কারণেই আপনি নিরাপদ।
সম্পূর্ণ চার্জ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নতুনভাবে চার্জ দেওয়া যাবে না
এটা সচরাচর না করাই ভালো। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি আপনার টিভির রিমোটের ব্যাটারির মতো নয় যে ব্যাটারির শক্তি শেষ হওয়ার আগেই নতুন ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে না। অথবা ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে না গেলে নতুনভাবে চার্জ দেব না- এরকম ধারণা রাখাই উচিত নয়। পুরোনো নিকেল-মেটাল হাইড্রাইড ব্যাটারির মতো মেমোরি এফেক্ট (পুরোনো ব্যাটারির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ চার্জ শেষ না হলে নতুনভাবে চার্জ না নেওয়াকে বলে মেমোরি এফেক্ট) আপনার নতুন স্মার্টফোন এবং মোবাইল ফোনের ব্যাটারির ক্ষেত্রে নেই। বরং এ রকম মনে করে সম্পূর্ণ চার্জ শেষ করে চার্জ দিলে আপনার মোবাইল ফোনের ক্ষতি হতে পারে। তাই যখন খুশি তখন, উপযুক্ত জায়গা পেলে, সেখানেই চার্জ দেবেন।
ফোন চার্জের সময় তা ব্যবহার করা যাবে না
চার্জের সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও অনেকে পরামর্শ দেন এটি না করার জন্য। কারণ তারা মনে করেন এটি করলে তা মোবাইল ফোনের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। যদিও অন্যসব ভুল ধারণার মতো এটিরও কোনো ভিত্তি নেই। এই ভুল ধারণাটি আরো শক্ত হয় ২০১৪ সালে, সেসময় চার্জ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী এক নারীর মৃত্যু হয়।
ঘটনাটি ঘটে অস্ট্রেলিয়ায়। যদিও কর্তৃপক্ষ পরে দেখেছেন, কম দামি ইউএসবি চার্জার ব্যবহার করার জন্যই এ ঘটনা ঘটেছিল। তাই চার্জ দিয়ে মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পূর্ণ নিরাপদ, তবে সস্তা চার্জার থেকে সাবধান। আর ভেজা হাতে চার্জ লাগানো মোবাইল না ধরাই ভালো।
সকল চার্জার একইভাবে নির্মিত
চার্জার আপনার মোবাইল ফোনে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে, এটার মধ্যে আর কতটুকু বৈচিত্র্য থাকতে পারে? চার্জার নিয়ে এ রকম ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু আসলে একটি ভালো চার্জারের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। তাই নকল চার্জার ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ কেন শেরিফ বাজারে অ্যাপলের চার্জারের ছদ্মবেশে থাকা বেশকিছু নকল চার্জার নিয়ে গবেষণা করেছেন। এগুলোই মূলত আপনার মোবাইল ফোনকে নষ্ট করা এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী। নামকরা ব্র্যান্ডের চার্জার না কিনলেও চার্জারের ভালো-মন্দ দেখে সেটা কেনা উচিত। ভালো চার্জার মানেই আপনার মোবাইল দ্রুত চার্জ হওয়ার পাশাপাশি বিদ্যুতের অতিরিক্ত তাপে তা গলে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাবে।
সপ্তাহে সাতদিন ২৪ ঘণ্টা মোবাইল চালু রাখা যাবে না
সারাক্ষণ মোবাইল খোলা রাখলে আপনার ব্যাটারির জীবনের মেয়াদের ওপর প্রভাব পড়তে পারে কিন্তু মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে রাখা এর কোনো সমাধান নয়। এ জন্য সপ্তাহে একবার মোবাইল রিবুট অপশন থেকে পুনরায় বুট করে নেওয়া উচিত। এতে আপনার মোবাইলের কর্মক্ষমতা উন্নয়নেও তা সহায়ক হবে।
‘লোকেশন সার্ভিস’ বা অবস্থান সংক্রান্ত সেবা আপনার ব্যাটারির ক্ষমতা নষ্ট করছে
মোবাইল ফোনে চালু অ্যাপগুলো যা অবস্থান সংক্রান্ত সেবা দিয়ে থাকে তা ব্যবহারের কারণে ব্যাটারির ধারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে, এ রকম অভিযোগ অনেকের কাছেই শুনে থাকবেন। আইটি বিষয়ক সাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটির মতে এই ধারণাটিও ভুল। এ রকম অনেক সেবামূলক অ্যাপ রয়েছে যা ব্যবহার করলে আপনার অ্যাপের চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যেতে পারে, তার মানে এই নয় যে এটি আপনার মোবাইল ফোনের ব্যাটারির জন্য ক্ষতিকর। আপনি আপনার মোবাইল ফোনে লোকেশন সার্ভিস ব্যবহার করতে চাইলে তা নির্বিঘ্নে ব্যবহার করতে পারেন। এটি কখনই আপনার ব্যাটারির জীবননাশ করবে না।